বান্দরবান সীমান্তে পৃথক মাইন বিস্ফোরণ, আহত তিন বাংলাদেশি হাসপাতালে


মিয়ানমারে পণ্য ও গরু আনতে গিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি সীমান্তে পৃথক স্থলমাইন বিস্ফোরণে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার সকালের এসব ঘটনায় আহত একজনের বাঁ-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ সকালে দুই দফায় মিয়ানমারের শুন্যরেখায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণ হয়।




আহতরা হলো– আলী হোসেন (৩৫), আরিফ উল্লাহ (৩০), মো. রাসেল। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এর মধ্যে আলী হোসেনের বাঁ-পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে, তিনি আশারতলী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।



স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিস্ফোরণে আহত হন আলী হোসেন। পরে ১০টার দিকে সীমান্তের আরেক পয়েন্ট জামছড়ি এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে আহত হয় মো. রাসেল ও আরিফ উল্লাহ। আহত আরিফ নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর আলমের ছেলে।



স্থানীয়রা জানায়, আলী হোসেনসহ কয়েকজন চোরাকারবারি সীমান্তের ৪৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে ২-এস পয়েন্টে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়। পরে সঙ্গে থাকা লোকজন আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

অন্যদিকে, নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮-৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণ হয়। এতে আহত হয় রাসেল ও আরিফ। তাদরও কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


স্থানীয়দের তথ্যমতে, বিস্ফোরণে আহত তিনজনই মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে গিয়েছিল। সেখানে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়।



নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুরুল হক বলেন, ‘আজ সকাল ৬টা থেকে ৭ টার দিকে একটি ও ১০ টার দিকে একটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণ হয়েছে শুনেছি। সকাল ৬টার দিকে যে মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে এতে একজন আহতে খবর পেয়েছি। ১০টার দিকে মাইন বিস্ফোরণের আহত হয়েছে কি-না জানা যায়নি।’


নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ সকাল ৬টার দিকে একটি ও ১০টার দিকে আরেকটি মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে প্রথমে একজন ও পরে দুজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’



জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি ওপার থেকে আসছে ইয়াবাসহ গরু।


প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী, ফুলতলী, জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হচ্ছে মিয়ানমারে। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও জানায় এলাকাবাসী।

Comments

Popular posts from this blog

ব্লেড দিয়ে শ্বশুরের গোপন অঙ্গ কাটলেন পুত্রবধূ, জানা গেল গা শিউড়ে ওঠা তথ্য

হঠাৎ পাল্টে গেল সয়াবিন তেলের বাজার!

চাচা বাড়িতে এই বুলডোজার কেন? আর পাগলিটা কোথায়? -হাসনাত