বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে এর দাম কমেছে। আজ মঙ্গলবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৯ সেন্ট কমে ৬৫ ডলার ২৭ সেন্ট, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েট অপরিশোধিত তেলের দাম ৪৯ সেন্ট কমে ৬১ ডলার ৫৬ সেন্ট হয়েছে। বাজার বিশ্লেষক ট্যামাস ভার্গা সংবাদ সংস্থাটিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দেনদরবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আবারও তেলের চাহিদা কমেছে।’ অর্থনীতিবিদদের অনেকে রয়টার্সকে বলেছেন, সব আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ববাণিজ্যে উচ্চমাত্রায় ঝুঁকি তৈরি করেছেন। চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় পড়তে পারে।
রাজধানীর রামপুরায় এবার জমি দখলে গিয়ে, একই পরিবারের শিশুসহ ৩ নারীর ওপর হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতা এস কে লিটন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লিটন ও তার কয়েকজন সহযোগীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।
সিসি ক্যামেরার দৃশ্যে দেখা যায়, কয়েকজন নারী ও শিশুর ওপর সংঘবদ্ধ হামলা করছে একদল দুষ্কৃতিকারী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সেনাবাহিনী। হাতেনাতে আটক করা হয় হামলায় নেতৃত্ব দেয়া স্থানীয় যুবদল নেতা এস কে লিটন ও তার কয়েকজন সহযোগীকে। জানা যায়, জায়গা জমির দ্বন্দ্ব থেকেই এমন ঘটনার সূত্রপাত।
আহতদের অভিযোগ, হামলায় নেতৃত্ব দেয়া এস কে লিটন আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াতো। আর এখন যুবদলের রাজনীতির নামে লিপ্ত রয়েছেন চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে।
স্থানীয় একজন বলেন, আমাদের কোলে বাচ্চা ছিল তাদের গায়েও মেরেছে তারা। আমার ও আমার ছোটবোনের কোলে বাচ্চা ছিল। আমাদের বাচ্চাসহ নিচে ফেলে মেরেছে ওরা।
হামলার শিকার পরিবারটির দাবি, স্থানীয় মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ইয়াহ ইয়ার নির্দেশেই সবকিছু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানেও উঠে এলো ঘটনার ভয়াবহতা।
স্থানীয় একজন বলেন, এসে দেখি মারামারি হচ্ছে। আরেকজন বলেন, তারা মহিলা মানুষ এসে প্রতিবাদ করেছে। এ সময় মহিলাদের ওপর পুরুষরা হামলা করেছে।
সংবাদ সংগ্রহে গেলে গণমাধ্যমের ওপর চড়াও হয় মাদরাসাটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা দাবি করেন, জায়গাটি মাদরাসার সম্পত্তি। তবে আদালতে বিচারাধীন ইস্যুতে কেনো এ হামলা ও জবরদখলের চেষ্টা? এমন প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।
মাদরাসার একজন বলেন, এ ব্যাপারে আমরা জানি না। দায়িত্বশীল যাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। পুলিশ বলছে, হামলার বিভিন্ন প্রমাণ তারা হাতে পেয়েছেন। নেয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।
আরও পড়ুনঃ জেলখানার অন্য আসামিদের হাতে মা'রধরের শিকার আ. লীগ নেতা
রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, কিছু ভিডিও ফুটেজ আমরাও দেখেছি। আমরা আরও দেখব, ইনভেস্টিগেশন করব। আমরা দল দেখে ব্যবস্থা নেব না, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই শনাক্ত করব এবং সেভাবেই ব্যবস্থা নেব।
প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের কেউ এই জবরদখলের চেষ্টায় জড়িত থাকলে ছাড় না দেয়ার হুশিয়ারি দেন ওসি
Comments
Post a Comment